নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জে পৌর মেয়রের প্রোগ্রামে আসায় কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের হামলায় দুই জন আহত হয়েছে। রবিবার সারাদেশে ২৫টি পৌরসভায় মনোনয়নের চূড়ান্ত হয়। এর মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ ও পৌর মেয়র মো. লোকমান হোসেন ডাকুয়া মনোনয়ন লাভ করেন। দলীয় মনোনায়ন পাওয়ায় উপজেলা জুড়ে আনন্দের বন্যা বইতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোকলেসুর রহমান হাওলাদারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যার পরে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে মেয়রকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে যাওয়ার পথে কলসকাঠী ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে ডাকুয়া বাড়ির সামনে ইউপি চেয়ারম্যান মুন্না তালুকদারের সন্ত্রাসী হামলায় নূর হোসেন খান ও সেলিম খান নামের দুই আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হন। বর্তমানে আহতরা বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে আহতরা জানান, পৌর মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাড়ির সামনে আসা মাত্র মুন্না তালুকদার তার লোকজন নিয়ে আমাদের পথরোধ করে মারধর শুরু করে। আমরা আমাদের অপরাধ জানতে চাইল মুন্না তালুকদার বলেন, ‘সালারা তোরা আওয়ামী লীগ কর, নেতা হইয়া গেছো, আওয়ামী লীগ করতে হলে আমার সাথে করতে হবে, তোরা মোকলেসের সাথে কেন মেয়রের সাথে দেখা করতে গেছো। মোকলেস ভাইয়ের সাথে যাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ এই কথা বলার সাথে সাথে আমাদেরকে পুনরায় মারধর করতে থাকলে আমরা দৌড়ে গোয়াল ঘরে আশ্রয় নিলে সেখানেও আমাদের উপর মুন্না চেয়ারম্যান হামলা চালায়। একপর্যায় আমরা অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকলেসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মুন্নার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ক্ষোভ যে কোন সময় বিভোক্ষে রূপ নিতে পারে। বর্তমানে ভূক্তভোগী ও তার পরিবার মুন্না তালুকদারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।
Leave a Reply